শাকের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ (Benefits and nutritional value of vegetables)
শাকের মধ্যে পাটশাক সবার পছন্দের হতে পারে আবার নাও হতে পারে। তবে এই পাট শাকের গুণের শেষ নেই। পুষ্টিগুণে ভরপুর এ শাক শরীরের নানা ধরনের উপকার করে।
যে ভাবে খাবেন
বেশিরভাগ মানুষ রসুন-শুকনা মরিচ দিয়ে পাট শাক ভেজে খান। স্যুপ বা স্ট্যুতে এই পাতা মিশিয়ে খেতে পারেন। নাইজিরিয়াতে পাট পাতা ও শুকনো মাছ দিয়ে ইয়েডু নামক একটি স্যুপ খাওয়া হয়। মিশরে পাট পাতা কুচি করে তার মধ্যে লেবুর রস আর অলিভ অয়েল দিয়ে খাওয়ার প্রচলন আছে। এটি মুলুখিয়া নামে পরিচিত। জাপানে পাট শাকের চা খাওয়া হয়। চাইলে পাট শাকের পাকোড়াও বানিয়ে খেতে পারেন।
- তেতো স্বাদের পাটশাক খাওয়ার রুচি বাড়ায়। মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনে ও মেদ বৃদ্ধির আশঙ্কা কমায়।
- পাটশাকে থাকা ম্যাগনেশিয়াম উপাদান শরীরে প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপাদন করে যা স্নায়ুতন্ত্র শান্ত রাখে এবং নিরবচ্ছিন্ন নিদ্রা নিশ্চিত করে।
- পাট শাকের ভিটামিন এ, ই এবং সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ভিটামিন সি ও ক্যারোটিন মুখের ঘা দূর করতে সাহায্য করে।
- পাটশাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে যা হাড় ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করে।
- পাটশাকে বিদ্যমান উচ্চ মাত্রার পটাশিয়াম রক্তসঞ্চালন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
- পাটশাকে প্রচুর পরিমান আয়রন থাকে যা রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়তা করে।
- পাটশাকে থাকা খাদ্যআঁশ হজম প্রক্রিয়াকে দারুণভাবে ত্বরান্বিত করে আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- পাট শাকে প্রচুর ভিটামিন থাকে ।
ভিটামিনে গেঁটেবাত, আর্থরাইটস এবং প্রদাহ জনিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। - পাটশাকে থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরে যেকোনো ধরণের ক্যানসার রোধে সহায়তা করে।
- পাট শাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম আছে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বৃদ্ধির জন্য শিশু খাদ্য তালিকায় পাট শাক থাকা জরুরি
- রক্তের কোলেস্ট্রোল ভোজ্য আঁশের সাথে যুগলবন্দি হয়ে শরীর থেকে বেড়িয়ে যায়। ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্টোকের ঝুঁকি কমে যায়।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম শরীরে প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপাদন করে যা স্নায়ুতন্ত্র শান্ত রাখে এবং নিরবচ্ছিন্ন নিদ্রা নিশ্চিত করে।
- পাটের শুকনো পাতা এক গ্রাম আধা কাপ ভিজিয়ে সেটা ছেকে খেলে আমাশয় রোগ উপশম হয়।