আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভাল আছেন। Healthawarebd ব্লগ ওয়েবসাইটে”হেলথ টিপস” ক্যাটাগরিতে আপনাকে স্বাগতম। আপনি আমাদের এই ওয়েবসাইটের ” হেলথ টিপস” ক্যাটাগরি থেকে স্বাস্থ্য,সেবা ,চিকিৎসা,বাচ্চাদের যত্ন,স্কিন টিপস সহ স্বাস্থ্য,সেবা ,চিকিৎসা,সম্পর্কিত সকল নতুন নতুন বিষয় জানতে পারবেন।
স্বাস্থ্যের সংজ্ঞা :: স্বাস্থ্য হল সম্পূর্ণ শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক সুস্থতার একটি অবস্থা এবং শুধুমাত্র রোগ বা দুর্বলতার অনুপস্থিতি নয়। জাতি, ধর্ম, রাজনৈতিক বিশ্বাস, অর্থনৈতিক বা সামাজিক অবস্থার ভেদাভেদ ছাড়াই স্বাস্থ্যের সর্বোচ্চ অর্জনযোগ্য মান উপভোগ করা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকারগুলির মধ্যে একটি।
সুস্থ দেহ সুন্দর মন
১. শরীরের যত্নঃ আমরা সবাই সুস্থাস্থ্য চাই। কিন্তু সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীরের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। শরীরের যত্নের জন্য প্রয়োজন খাদ্য ও পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা, শরীরচর্চা ও খেলাধুলা। শরীরে খাদ্য ও পুষ্টির যথাযথ যোগান দিতে বিভিন্ন খাদ্য উপাদান এবং এর উৎসসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর ভূমিকা সম্পর্কে অবগত থাকা উচিত। শরীর ভালো রাখতে খাদ্য উপাদান হিসেবে শর্করা, আমিষ, চর্বি, ভিটামিন, খনিজ লবণ, পানি ও খাবারের আঁশ পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। এতে আমাদের শরীরের কর্মক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
২. মনের যত্নঃ সুস্বাস্থ্যের জন্য যেমন শরীরের যত্ন প্রয়োজন, তেমনি দরকার মনকে ভালো রাখা। যেসব কাজ মন ভালো রাখে সেগুলো বেশি বেশি করার চেষ্টা করতে হবে। বিনোদন, শখের কাজ, নিজের অনুভূতির যত্ন নেওয়া ইত্যাদি মনের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রয়োজন। কেননা আমাদের ভালো লাগার, আনন্দের এবং মজার অনুভূতিগুলো মনে শক্তি যোগায়। তাছাড়া যা কিছু আমাদের আনন্দ ও তৃপ্তি দেয় তা থেকে আমরা মনে শক্তি পাই। তেমনিভাবে নিজের অনুভূতির যত্নও মনে শক্তি যোগায়। মনের শক্তি আমাদের আনন্দে রাখে, উৎসাহ যোগায়,কাজে ধৈর্য ও মনোযোগ বাড়ায়, অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য মনের যত্ন নেওয়া আবশ্যক।
৩. নিরাপদ থাকাঃ সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীর ও মনের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন রোগবালাই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকা। আর নিরাপদ থাকার জন্য প্রয়োজন আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত রাখা, রোগ প্রতিরোধ ও তা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তাই পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে সচেতন হতে হবে। কেননা পরিবেশের তিনটি উপাদান মাটি, বায়ু ও পানি প্রতিনিয়তই দূষিত হচ্ছে যা স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ায়। এজন্যে মাটি, পানি ও বায়ু দূষিত হয় এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
শরীরে যত্ন যেভাবে নিব (How to take care of the body)
1.খাবার আগে হাত ধৌত করবো, যা জীবাণুমুক্ত থাকতে সাহায্য করবে।
2.সুষম খাবার খাব আর, সারাদিন শক্তি যোগাবো ।
3.আমিষ জাতীয় খাবার খাব তাহলে শরীর কর্মক্ষম থাকতে সাহায্য করবে। তাজা ফল শাকসবজি খাবো আর শরীর সুস্থ থাকবে ।
4.মাত্রাতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলব তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে
5.বাইরের খোলা খাবার এড়িয়ে চলব আর সুস্থ থাকবো।
6.কোমল পানীয় এডিয়ে চলব আর কিডনি সুস্থ থাকবে
7.পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করবো তাহলে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকবে
8.তাজা ফল শাকসবজি খাব, শরীর সুস্থ থাকবে
9. আঁশযুক্ত খাবার খাব, খাদ্য হজমে সাহায্য করবে।
10.ঢেঁকিছাঁটা চাল খাব। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীর সুস্থ রাখবে।
11.নিয়মিত শরীর চর্চা ও খেলাধুলা করব। শরীর সুস্থ থাকবে।
12. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিব তাহলে শরীরের ক্লান্ত দূর হবে।
13প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ঘুমাবো তাহলে শরীরের কর্মক্ষম থাকবে।
14.খুব সকালে ঘুম থেকে উঠবো তাহলে শরীর সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
মনের যত্ন যেভাবে নিব - How to take care of the mind
1.সালাত আদায় করব তাহলে মনোবল বৃদ্ধি পাবে।
2.ফুলের বাগান করব আর মনের আনন্দ নিব
3.বড়শি দিয়ে মাছ ধরব তহলে মন প্রফুল্ল হবে।
4.পড়ার টেবিলে বই সাজাব এতে মন ভালো থাকে।
5.বড়দের সম্মান করব তাহলে তাহলে ছোটরা সম্মান করবে।
6.মা-বাবার কাজে সাহায্য করব তাহলে মা-বাবা খুশি হলে আনন্দ পাব।
7.অন্ধকে পথ চলতে সাহায্য করব।কাউকে সাহায্য করতে পারলে নিজের ভালো লাগবে
8.ছবি আঁকব,ঘুড়ি উড়াব এতে মন প্রফুল্ল হবে।
9.গল্পের বই পড়লে অনেক বেশি আনন্দ দেয়।
10.নিয়মিত ব্যয়ামের অভ্যাস গড়ে তোলা। ব্যায়াম আপনার মনকে চাঙা রাখতে সাহায্য করে।
11.প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখব এতে মন সতেজ হয়
12.টিভিতে বিজ্ঞান বিষয়ক মুভি দেখব এখানে আনন্দদায়ক কিছু মুহূর্ত উপভোগ করা যায়।
সুস্থ দেহ সুন্দর মন নিরাপদ জীবন গড়ি
চারপাশে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখব আর রোগ-বালাই থেকে নিরাপদ থাকব।যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলব না,এতে পরিবেশ দূষণরোধ হবে। অন্যদেরকে দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়তে সাহায্য করব এতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও সুস্বাস্থ্য রাখতে সাহায্য করবে। মাক্স ব্যবহার করব বায়ু দূষণের কুফল থেকে রেহাই পাব। পানি ফুটিয়ে পান করব এতে পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্ত থাকব।পানিতে ময়লা আবর্জনা ফেলব না, পানি দূষণমুক্ত থাকব। বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার রাখব আর রোগ -বালাই প্রতিরোধে সহায়ক হবে। অন্যের সমস্যা হতে পারে এমন উচ্চ আওয়াজ শব্দ করব না তাহলে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে উঠবে।
সুস্থ দেহ সুন্দর মনের জন্য খেলাধুলা অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে।
যেমন.- আমাদের শরীর সুস্থ থাকে, আমরা নীরোগ থাকি।আমাদের সামাজিক, মানসিক, আবেগিক ও নৈতিক বিকাশ হয়।বুদ্ধির বিকাশ ঘটে।লেখাপড়ায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
খেলাধুলার মাধ্যমে স্মরণশক্তি বাড়ে।পাঠে একঘেয়েমি দূর হয়।শরীরচর্চা ও খেলাধুলা দলবদ্ধভাবে কাজ এবং সমস্যার সমাধান করতে শেখায়।নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলা বিভিন্ন অনিয়ম করার মতো ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে দূরে থাকা।খেলাধুলা আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।মানসিক চাপ কমায়
তো আশাকরি আমাদের আজকের পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে। যদি ভালো লাগে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করবেন। তো সবাই ভালো সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।